Information about Govt. Registration

সরকারি রেজিষ্ট্রেশন এর তথ্য

মজুমদার আই.টি অ্যান্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার হলো ওয়ার্ল্ড আই.টি ফাউন্ডেশন এর আঞ্চলিক শাখা। উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্জনের জন্য ওয়ার্ল্ড আই.টি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় একটি করে আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর আবেদন করে। এরপর যৌথমূলধনী কোম্পানী তৈরি করার জন্য অনুমোদন দেয় (রেজিষ্ট্রেশন নং S-8026(47)/08) । সেই সাথে বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় অন্তত একটি করে মোট ৫৫৮টি আঞ্চলিক শাখা স্থাপনের অনুমতি দেয়। তারা প্রতিটি আঞ্চলিক শাখার পরিচালকদের ফ্রিতে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেই সাথে তাদের অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা প্রতিটি শাখা পরিচালনা করে থাকে।

২০২০ সালে মজুমদার আই.টি অ্যান্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ওয়ার্ল্ড আই.টি ফাউন্ডেশন এর আঞ্চলিক শাখা হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। প্রতিষ্ঠান কোড: 172। বর্তমানে ওয়ার্ল্ড আই.টি ফাউন্ডেশন এর অধীনে প্রায় 100+ ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ করে সার্টিফিকেট প্রদান করেছি। 

ওয়ার্ল্ড আই.টি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যানের বানী​

তথ্যপ্রযুক্তির নতুন দিগন্ত ওয়ার্ল্ড আইটি ফাউন্ডেশন। ইহা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, জনসেবামূলক ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ ঘটানো এবং জাতীয় পর্যায়ে তার সুফল বিস্তারের লক্ষ্যে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৮ সাল থেকে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে চলছে ওয়ার্ল্ড আইটি ফাউন্ডেশন। World Information Technology Foundation গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের, রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস এর সোসাইটি রেজিষ্ট্রেশন আইন XXI অব ১৮৬০ এর আওতায় যার রেজিষ্ট্রেশন নং S-8026(47)/08। ওয়ার্ল্ড আইটি-ফাউন্ডেশন এর উপর সরকার কর্তৃক অর্পিত ক্ষমতা বলে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, ও জেলাগুলোতে বৃহত্তর বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, কারিগরী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যার মূল উদ্দেশ্য তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেশের সকল পর্যায়ের দারিদ্র বিমোচন করা। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৮ সালে স্থাপিত হয়ে ২০০৮ সালের ১৩ ইং জুলাই সরকারী অনুমোদন লাভ করে । এই Foundation তার সফলতার ধারাবাহিকতায় অনেকগুলো সেবামূলক প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, ও জেলা গুলোতে IT Village গড়ে তোলা। এই পর্যন্ত প্রায় ৫১৮ টিরও বেশি IT প্রতিষ্ঠান সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। “Education is the backbone of a nation” এই কথাটি যদি সত্যি হয়, তাহলে আজ কেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়া শেষ করে আমাদের তরূণ মেধাবী ছেলে-মেয়েরা চাকুরী নামক সোনার হরিণের পিছে দৌড়ে, হতাশাগ্রস্থ হয়ে বেকারত্ব নামক অভিশাপের আঁচলে মুখ লুকিয়ে সমাজ ও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাহলে কোনটি সত্যি? তাদের মেধার অভাব? নাকি তারা সঠিক শিক্ষাব্যবস্থা পাচ্ছেনা? World Information Technology Foundation এর চেয়ারম্যান মনে করে দ্বিতীয়টি সত্যি। যে শিক্ষা ব্যবস্থা একজন ছাত্রের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, পারেনা তার মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে, সে শিক্ষা ব্যবস্থা কোন শিক্ষাই নয়। যেমন- পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তে ধনের মতো যা প্রয়োজনের সময় কোন কাজেই আসেনা। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বলছি, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে থাকবেনা কোন বেকারত্বের অভিশাপ। আমাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা: ১। “ওয়ার্ল্ড আইটি – ফাউন্ডেশন” বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ১টি করে ৪৫৫৪টি, উপজেলা হেড কোয়ার্টারে ৩টি করে ১৭৯৩টি এবং জেলা হেড কোয়ার্টারস্ এ ৫টি করে ৩২০টি সর্বমোট ৬৩৪৭ টি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ২। প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড আইটি – ফাউন্ডেশন কেন্দ্রে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত কম্পিউটার লিটারেসি তৃণমূল পর্যায়ে বৃদ্ধির লক্ষ্যে অন-লাইন কম্পিউটার শিক্ষা প্রবর্তন কর্মসূচী বাস্তবায়ন। যার মধ্যে WIT – Online Education, WIT- Technical School & College, WIT University ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সহ অন্যান্য আন্ডার গ্রাজুয়েট ও গ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম প্রবর্তনের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড আইটি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ৩। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ICT Based বাজেট অনুযায়ী ওয়ার্ল্ড আইটি – ফাউন্ডেশন এর অধীনে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়,ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপনসহ অনলাইন শিক্ষা প্রবর্তনে আইএসপি স্থাপন করে তথ্য প্রযুক্তিকে জনগণের শিক্ষা ও সেবামূলক কাজে ব্যবহার করে ব্যাপক কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করা। ৪। আঞ্চলিক কেন্দ্রের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে এবং পরিচালনার লক্ষ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট স্থানীয় একটি আঞ্চলিক পরিচালনা পরিষদ থাকবে। ঐ সকল সদস্যমন্ডলী ওয়ার্ল্ড আইটি- ফাউন্ডেশনের সাধারণ সদস্য হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করবেন। ৫। ওয়ার্ল্ড আইটি- ফাউন্ডেশন দেশী/ বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা, গবেষণা, “ Memorandum of Understanding” এর মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম – নীতি অনুসরণ করে সাধারণ, কারিগরী ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। ৬। ওয়ার্ল্ড আইটি – ফাউন্ডেশন যে কোন ছাত্র/ছাত্রীকে স্কলারশিপ, দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও গুণীজনকে পদক প্রদান করতে পারবে। ইহা ছাড়াও যে কোন সমস্যা বা উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে ওয়ার্ল্ড আইটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী কাউন্সিল উক্ত নীতিমালা পরিবর্তন, পরিবর্ধন করতে পারবেন। সরকারী ও বেসরকারী সকল পর্যায়ে যারা এই মহান সৃষ্টির শুরু থেকে সফলতা অর্জন পর্যন্ত আমাকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন এবং আগামীতে করবেন, জাতি প্রকৃত পক্ষে সেই সকল মহান ব্যক্তিগণকে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে। মানুষ ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করে, আমি ঘুম থেকে উঠে বাস্তবে দেখতে পছন্দ করি। যেদিন ঘুম থেকে উঠে বাস্তবে দেখবো আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে কোন বেকারত্ব থাকবে না সেদিন আমার সমস্ত চেষ্টা, পরিশ্রম ও স্বপ্ন স্বার্থক হবে বলে আমি মনে করি।

মোঃ সোহরাব হোসেন (শুভ)

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট

ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ফাউন্ডেশন